কর বাঁচাতে বিনিয়োগ করবেন না কর মিটিয়ে দেবেন? আপনার ধন্দ যদি এই নিয়ে হয় তবে, আপনি একা নন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাণপুরুষ বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিনও ১৭৮৯ সালে এই ধন্দে পড়েছিলেন। সেই সময় জ্যঁ-ব্যাপটিস্ট লেরয়কে এক চিঠিতে ফ্র্যাঙ্কলিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সংবিধান প্রসঙ্গে লেখেনঃ ‘…মৃত্যু আর কর ছাড়া অন্য কোনও কিছুই নিশ্চিত নয়।’ আয়কর এড়ানোর নয়। তবে প্রশ্ন হলঃ কর দেওয়া উচিত না কর বাঁচানোর বিনিয়োগ করা উচিত? আয়কর আইন অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি বছরে নির্দিষ্ট সীমার অতিরিক্ত আয় করলে সরকারকে সেই আয়ের উপর কর দিতে হবে। এই ন্যূনতম আয়ের সীমাকেই বলে বেসিক এগজেম্পশন লিমিট। তবে, আয়কর আইন মেনে নির্দিষ্ট কিছু বিনিয়োগ ও ব্যয়ের …
Category: Ortho Bichar
ডিভিডেন্ড আয়ে কর দিতে হবে আপনাকেই
১৫ মার্চ শেষ অগ্রিম করের কিস্তির তারিখ ১ এপ্রিল ২০২০ থেকে আর ডিভিডেন্ড আয় আপনার হাতে করমুক্ত নয়। শেয়ার অথবা ইকুইটি ও ডেট মিউচুয়াল ফান্ড থেকে ডিভিডেন্ড পেলে সেটা আপনাকে ‘ইনকাম ফ্রম আদার সোর্স’ বা ‘অন্য উৎস থেকে আয়’ হিসাবে মোট বার্ষিক আয়ে যোগ করে তার ওপর আয়কর, অর্থাৎ, ডিভিডেন্ড আয়ে কর দিতে হবে। গত বছর মার্চ পর্যন্ত ডিভিডেন্ড আয়ের ওপর আপনাকে কোনও কর দিতে হতো না। কেননা, যে কর্পোরেট সংস্থা বা মিউচুয়াল ফান্ড হাউস ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তাকে ডিভিডেন্ড ডিস্ট্রিবিউশন ট্যাক্স (ডিডিটি) দিতে হতো। ২০২০-২১ অর্থবছরের ফিনান্স অ্যাক্টে ওই ডিডিটি তুলে দেওয়া হয়েছে এবং ডিভিডেন্ড আয়ে কর দেওয়ার দায় …
কেন বিনিয়োগ করবেন শেয়ার/মিউচুয়াল ফান্ডে — পর্ব ৩
ইটিএফ — শেয়ারে লগ্নির সহজ উপায় শেয়ারে লগ্নি মানেই যে নিয়মিত খাতা কলম নিয়ে অঙ্ক কষে সংস্থার আর্থিক অবস্থা, কর্তৃপক্ষের কৌলীন্য প্রভৃতি বিচার করে তবেই বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তেমনটা মোটেই নয়। বরং, এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড বা ইটিএফ-এর সৌজন্যে প্রতিটি সংস্থার ঠিকুজি-কুষ্ঠি, রাহু, গণ বিচার করে বিনিয়োগ করার দিন এখন অতীত। আর, এই ইটিএফের এমনই মাহাত্ম্য যে শেয়ার বাজারে পেশাদার বিনিয়োগকারীই হন বা হাতেখড়ি দিতে আসা শিক্ষানবীশ, সকলের বিনিয়োগ পোর্টফোলিওতে একটি-দু’টি ইটিএফ থাকা উচিত। এখানে উল্লেখ করতেই হয়, এ দেশের শেয়ার বাজারে যত বিদেশি বিনিয়োগ আসে তার সিংহভাগই ওই ইটিএফের মাধ্যমে। আমাদের তুলনায় প্রায় আটগুণ বড় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারে …
কেন করবেন শেয়ার-মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নিঃ পর্ব-১
নিশ্চিত আয় প্রকল্পে মূল্যবৃদ্ধির ঘুণ পোকা, ব্যাঙ্ক-পোস্টঅফিসের বাইরে ভাবুন ব্যাঙ্ক-পোস্টঅফিসে টাকা রেখে আপনি ভারি নিশ্চিন্তে অবসর জীবনের সঞ্চয় তহবিল গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছেন। অথচ, ‘মূল্যবৃদ্ধি’ নামক ঘুণ পোকাটা যে ব্যাঙ্ক-পোস্টঅফিসে বেড়ে ওঠা আপনার মেয়াদি আমানত ক্রমশ ফোঁপরা করে দিচ্ছে সেটা খেয়াল করেছেন? না হলে, অবসরের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেখবেন, ব্যাঙ্ক-পোস্টঅফিসে জমানো সঞ্চয়ের টাকায় সংসার চালানোই মুশকিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অবাক হচ্ছেন? দাঁড়ান, বিষয়টা তা হলে ভালো করে বুঝিয়ে বলি। মূল্যবৃদ্ধি কাকে বলে জানেন তো? আপনার, আমার মতো সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত পণ্য-পরিষেবার দামে একটানা বৃদ্ধিই হল মূল্যবৃদ্ধি। ফলে, ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়, বিনিয়োগ প্রভৃতির ক্ষেত্রে ‘মূল্যবৃদ্ধি’র গুরুত্ব যে কতটা সেটা অনুধাবন করতে নিশ্চয় কোনও …
সভারেন গোল্ড বন্ড – সোনাতে ঝামেলামুক্ত বিনিয়োগ
‘সভারেন গোল্ড বন্ড‘ বা এসজিবি সম্পূর্ণ ঝামেলা মুক্ত বিনিয়োগ। না এখানে গয়না বানিয়ে পড়বার প্রয়োজন হয়, না থাকে লকারের ঝামেলা, না থাকে অতিরিক্ত খরচ। সম্পূর্ণ দুশ্চিন্তা মুক্ত পদ্ধতি। কর : এখানে লাভ সম্পূর্ণ করমুক্ত বিনিয়োগকারীর ক্ষেত্রে। সূচক নামা ওঠার জন্য ক্ষতির আশঙ্কা থাকেনা বিনিয়োগকারীর, কারণ এসজিবি তার সুরক্ষা প্রদান করে থাকে। বিক্রয়যোগ্যতা : রিজার্ভ ব্যাংকের আদেশানুসারে বন্ড প্রদানের দিন থেকে পনেরো দিন পর স্টক এক্সচেঞ্জ-এ বিক্রি করা যায়। হস্তান্তরযোগ্যতা : এস জি বি – গভর্নমেন্ট সিকিউরিটিস অ্যাক্ট এর নির্দেশানুসারে প্রতিটি শর্ত পূরণের পর এই বন্ড হাত বদল করা যায় | যোগ্যতা : এই বন্ড বিক্রি করতে পারে কেবল মাত্র ভারতবর্ষে …
সোনার বিকল্প বিনিয়োগ – গোল্ড ইটিএফ
পুরাকাল থেকে আপামর ভারতবাসীর সোনার ওপর প্রবল আকর্ষণ। আকর্ষণের পরিমাণ এতটাই সন্তান অথবা স্নেহের কাউকে আজও ‘সোনা’ বলে ডাকা হয় ঘরে ঘরে। গহনার উপাদান বা ধাতু হিসেবে হীরে, প্ল্যাটিনাম যদিও অনেক বেশি দামি তবুও সোনার প্রতি আগ্রহে আজও এতটুকু খাদ পড়েনি। বহুমূল্যবান সোনাকে অন্নপ্রাশন, পৈতে, বিয়ে সব অনুষ্ঠানে অপরিহার্য বলে ধরা হয় অথচ সোনা কিনে বাড়িতে রাখা যথেষ্ট সমস্যা আজকের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে। চুরির ভয় থেকে যায়, তাই সোনা রাখার জন্য ব্যাঙ্কের লকারের শরণাপন্ন হতে হয়। অর্থাৎ প্রচুর দাম দিয়ে সোনা কেনবার পরেও তার পেছনে আরো আর্থিক খরচের প্রয়োজন। সোনাকে স্ত্রীধন হিসেবে ধরা হয়। যেকোনো বিপদের সময়, যেমন আর্থিক অনিশ্চয়তায়, দুর্দিনে …
ইক্যুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম – কর ছাড়ের সুযোগ
আয়করের ৮০ সি ধারা তে “ইক্যুইটি লিংকড সেভিংস স্কিম” (ইএলএসএস) এ বিনিয়োগ করা সুবিধেজনক। “ইক্যুইটি লিংকড সেভিংস স্কিম” এ সিস্টেম্যাটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান’ (এসআইপি) -এর মাধ্যমেও বিনিয়োগ করা যায়। এই বিনিয়োগ ইক্যুইটিতে হওয়ার জন্য অধিক মাত্রায় লভ্যাংশ দিতে সক্ষম, সঙ্গে বিনিয়োগকারীর সম্পদও বাড়ায়। “ইক্যুইটি লিংকড সেভিংস স্কিম” এ বিনিয়োগের জন্য গ্রোথ এবং ডিভিডেন্ড দুটি বিকল্প আছে। বার্ষিক আয়ের ওপর কর – ৮০সি এর যেকোনো প্রকল্পের মত এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে বার্ষিক দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ আয়ের ওপর কর ছাড় সম্ভব। এই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি নিয়ম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে এই সুবিধে পাবার জন্য ৩ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা বাধ্যতামূলক। লাভের ওপর …
ইক্যুইটি বা ইক্যুইটি শেয়ার
কোনো সংস্থার ইক্যুইটি বা ইক্যুইটি শেয়ার যাঁর আছে, তিনি আসলে সংস্থাটির অংশীদার, মানে শেয়ার হোল্ডার। ছোট বা বড় যে মাপেরই ইক্যুইটি হোক না কেন, তিনি ওই সংস্থার ব্যবসায়ের ভাল এবং মন্দ – দুয়েরই দায়ভাগী। একজনের ইক্যুইটি বা অংশীদারিত্ব যতটা, তিনি সংস্থার লাভের ততটা হকদার। সেই লাভ কোম্পানিটি তাঁকে দুভাবে দিতে পারে। লভ্যাংশ অর্থাৎ ডিভিডেন্ড বিতরণ করে, অথবা নিজের লাভক্ষতির খতিয়ানে রিজার্ভ’ হিসেবে জমা রেখে। কথা হচ্ছে, কোম্পানির রিজার্ভে লাভের টাকা জমা থাকলে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কী লাভ? একে পরিভাষায় বলা হয় ‘ক্যাপিটাল অ্যাপ্রিসিয়েশন’ বা মূলধনী মূল্যায়ন। কোম্পানির ‘বুক ভ্যালু’ অর্থাৎ খাতায়-কলমে এই লাভ তোলা থাকে আর বিনিয়োগকারী যতদিন অংশীদারি রাখছেন ততদিন …