ELSS বা ইক্যুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম এক ধরণের মিউচুয়াল ফান্ড। এই জাতীয় মিউচুয়াল ফান্ডে প্রাথমিকভাবে স্টক মার্কেট বা ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করা হয়। আয়কর আইন ১৯৬১-র ৮০সি ধারার অধীনে কোনও ব্যক্তি এই ELSS-এ বছরে ১,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে কর ছাড়ের সুবিধা পান। এই স্কিমের মাধ্যমে বছরে সর্বাধিক ৪৬,৮০০ টাকা পর্যন্ত কর সাশ্রয় করা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সাধারণ মানুষ বছরের শুরুতে বা জানুয়ারি মাস আসার আগে কর, বিনিয়োগ ইত্যাদি নিয়ে খুব একটা ভাবনাচিন্তা করেন না। অনেক দেরিতে তাঁদের ঘুম ভাঙে। অফিস থেকে কর সংক্রান্ত নথি জমা দেওয়ার ডাক এলে তখন তাঁরা জেগে ওঠেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। সেই …
Tag: Bengali
কীভাবে মুদ্রাস্ফীতির হাত থেকে সম্পদকে রক্ষা করবেন
মুদ্রাস্ফীতি আজ সারা বিশ্ব জুড়ে মানুষের উদ্বেগের বিষয়। কারণ মুদ্রাস্ফীতি সম্পদের ক্রয়ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। সম্পদ রক্ষার প্রয়োজনের কথা ভেবে মানুষ প্রতিনিয়ত মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এক সময় ছিল বিনিময় প্রথা। মানুষ নিজেদের উৎপাদন করা খাদ্যশস্য ও অন্যান্য সামগ্রীর বিনিময়ে তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য ও বস্তুসামগ্রী জোগাড় করত। সভ্যতার এগিয়ে চলার সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রথা বন্ধ হয়ে বিনিময়ের মাধ্যম হিসাবে চালু হয় মুদ্রা । আজ তা কড়ি-সোনা-রূপা-তামার পথ পার হয়ে সর্বজনগ্রাহ্য ছাপানো মুদ্রা। সম্পদের মধ্যে সবথেকে লিক্যুইড অর্থাৎ বিনিময়যোগ্য সম্পদ হল অর্থ। অর্থের মূল্য তার ক্রয়ক্ষমতা। আর একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে যখন আগের তুলনায় কম পরিমাণ পণ্য বা পরিষেবা …
রিটায়ারমেন্ট প্ল্যানিং – স্বপ্ন নয়, চরম বাস্তব!
যাঁদের বয়স কম, বা যাঁরা সরাসরি চাকুরিজীবি নন, কোনও পেশায় আছেন বা ব্যবসা করেন, তাঁদের কাছে ‘রিটায়ারমেন্ট প্ল্যানিং’ ব্যাপারটা বিশেষ গুরুত্ব পায় না! যদিও চাকুরিজীবিদের প্রথম থেকে বাধ্যতামূলকভাবে অবসরের লক্ষ্যে কিছু অর্থ জমাতে হয় – প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমের মাধ্যমে। আমরা সবাই জানি, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমরা কাজ করে চলতে পারব না, অবসর চরম সত্যগুলোর একটা। তবু, বিষয়টিকে অনেকক্ষেত্রেই আমরা এড়িয়ে চলি, অন্তত ততদিন, যতদিন না অবসর এসে দরজায় কড়া নাড়ছে! অন্যান্য লক্ষ্য – যেমন, নতুন বাড়ি কেনা, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা কিংবা বিয়ের খরচ সম্পর্কে পরিকল্পনা থাকলেও জীবনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময় সম্পর্কে সব সময়ই পাশ কাটিয়ে যাই । …
রিটায়ারমেন্ট প্ল্যানিং – স্বপ্ন নয়, চরম বাস্তব!
যাঁদের বয়স কম, বা যাঁরা সরাসরি চাকুরিজীবি নন, কোনও পেশায় আছেন বা ব্যবসা করেন, তাঁদের কাছে ‘রিটায়ারমেন্ট প্ল্যানিং’ ব্যাপারটা বিশেষ গুরুত্ব পায় না! যদিও চাকুরিজীবিদের প্রথম থেকে বাধ্যতামূলকভাবে অবসরের লক্ষ্যে কিছু অর্থ জমাতে হয় – প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমের মাধ্যমে। আমরা সবাই জানি, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমরা কাজ করে চলতে পারব না, অবসর চরম সত্যগুলোর একটা। তবু, বিষয়টিকে অনেকক্ষেত্রেই আমরা এড়িয়ে চলি, অন্তত ততদিন, যতদিন না অবসর এসে দরজায় কড়া নাড়ছে! অন্যান্য লক্ষ্য – যেমন, নতুন বাড়ি কেনা, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা কিংবা বিয়ের খরচ সম্পর্কে পরিকল্পনা থাকলেও জীবনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময় সম্পর্কে সব সময়ই পাশ কাটিয়ে যাই । …
সন্তানদের শিক্ষার জন্য দুশ্চিন্তা? বিনিয়োগেই অবসান!
ডাক্তার হবে, নাকি ইঞ্জিনিয়ার? – নাকি এমবিএ পাশ করে আপনার ছেলে-মেয়ে দেশে-বিদেশে ভালো চাকরি করবে! এই স্বপ্ন বা ইচ্ছে এখন মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সকল বাবা-মাদের। এই স্বপ্ন মেটাতে যেমন দরকার ছেলে মেয়ের প্রচেষ্টা, তেমনি দরকার মা-বাবার সহযোগিতা। মানসিক এবং অর্থনৈতিক – দুদিক দিয়েই। সমস্যাটি হয় দ্বিতীয় ক্ষেত্রে, যখন সঠিক পরিকল্পনার অভাবে শেষ মুহূর্তে জমানো সব পুঁজি তুলে দিতে হয় সন্তানের স্বার্থে। তার চেয়ে ভালো নয় কি আগে থেকে একটা পরিকল্পনা করে এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জমিয়ে রাখা, যাতে সঠিক সময়ে সেটি সঠিক উদ্দেশ্যে বাবহার করা যায়! তাহলে জেনে নিই কিভাবে করা যাবে সেই পরিকল্পনা – সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা বা এসএসওয়াই: …
হুজুগ বনাম প্ল্যানিং
ফ্যাশন না স্টাইল? কোনদিকে চলা অভ্যাস? নিজের মতে কেনাকাটা? নাকি যা চলছে বাজারে? এক পুজোর মরশুমে এক নামজাদা শাড়ির দোকানে এই কথোপকথন কানে এল – এক মা তাঁর তরুণী কন্যার শ্বাশুরির জন্য একটি দুর্দান্ত এবং দামী লালপেড়ে সাদা কাঞ্জিভরম কিনতে চাইছেন। বোঝা গেল নতুন বিয়ের ব্যাপার। মেয়েটি মাকে প্রাণপণে বোঝাবার চেষ্টা করছে, শাড়িটি তার শ্বাশুরিমার কোন প্রয়োজনে কাজে আসবে! মা নাছোড়! তিনি এই প্র্যাকটিকাল মতামত শুনতে রাজি নন। মেয়েটির বাবা বেচারা এই দুই মতের মধ্যিখানে পড়ে একেবারে স্যান্ডউইচ! এবার কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে বসেন, ওই দামী শাড়ির দোকানে কোন প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে জুটেছিলাম, তাহলেই মুশকিল! কারণ পুজোর সময় নতুন শাড়ি …
রেইট কি, কিভাবে কাজ করে এবং কেন বিনিয়োগ করা উচিত?
রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট বলা যেতে পারে একটি সংস্থা যার কিনা মালিকানায় আছে রিয়েল এস্টেট, যার থেকে পাওয়া যেতে পারে নির্ভরযােগ্য উপার্জন। রেইট হল এমন সংস্থা যারা কিনা দামি রিয়েল এস্টেট প্রােপার্টি মর্টগেজ/বন্ধক নিজেদের আয়ত্তে চালায়। বিভিন্ন ধরনের রেইট: রেইট এর সমস্ত সুবিধা: আপনাদের আরও কিছু জানার থাকলে নির্দ্বিধায় নিচের কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করুন অথবা আমাদের কল করুন +91 9051052222 নম্বরে। –শুভজিৎ দত্ত ও দেবরাজ গুহ ঠাকুরতা
মার্জিন ট্রেড ফান্ডিং
আজ আমরা এমটিএফ নিয়ে কথা বলবো। প্রথমেই জানা যাক এমটিএফ-এর অর্থ কী? এমটিএফ অর্থাৎ মার্জিন ট্রেড ফান্ডিং। এমটিএফ – এটি এমন একটি সুবিধা যা আপনার ব্রোকারের কাছ থেকে আপনি পেতে পারেন। এই সুবিধার মাধ্যমে আপনি যে পরিমাণ শেয়ার কিনতে চান, এবং তার জন্য আপনাকে মোট যে মূল্য দিতে হয় সেই মোট মূল্যের একটা পার্সেন্টেজ(%) দিয়ে আপনি শেয়ারগুলোর মালিক হতে পারেন। একটা উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করা যাক। ধরা যাক – আপনি কোনো কোম্পানির ১০০ টা শেয়ার কিনতে চান। যার প্রত্যেক শেয়ারের বাজার দাম ২৫০০ টাকা, এবং মার্জিন ২০%। তাহলে ১০০ টা শেয়ার কিনতে মোট দাম পড়বে ২৫০০০০ টাকা। কিন্তু মার্জিন ট্রেডিং-এর সুবিধা থাকার …
ইটিএফ – নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য
ইক্যুইটি হলো বিনিয়োগের মাধ্যমে সম্পদ তৈরি করার এবং মুদ্রাস্ফীতিকে হারানোর সবচেয়ে ভালো উপায়। কিন্তু ইক্যুইটি বাজার ,নতুন বিনিয়োগকারীদের মনে উদ্বেগ এবং বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে। বাজার তাদের জন্য কোনো অর্থেই সহজ জায়গা নয়। প্রতিদিন অনেক ঘটনা ঘটে এবং বাজারের ওপর প্রভাব ফেলে। প্রচুর তথ্য ও খবর প্রতিদিন আপনাকে প্রভাবিত করে। তাহলে এখন প্রশ্ন – কোথা থেকে শুরু করবেন ? কিভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন? বিনিয়োগের চাবিকাঠি হলো – সঠিকভাবে বিনিযোগকরার মানষিকতা এবং ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা । বিনিয়োগকারী হিসাবে আপনার একটা দুর্দান্ত শুরুর জায়গা হতে পারে ইটিএফ (এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) . ইটিএফ (এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) কী ? ইটিএফ হলো বিনিয়োগকারীদের অর্থের একটি তহবিল …
কেন করবেন শেয়ার-মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নিঃ পর্ব-২
মূল্যবৃদ্ধির আতসকাচের তলায় ব্যাঙ্ক-পোস্টঅফিসের মেয়াদি আমানতের রঙ কেমন ফিকে হয়ে যায় সেটা আমরা আগের পর্বে দেখেছি (এখানে পড়ুন, নিশ্চিত আয় প্রকল্পে মূল্যবৃদ্ধির ঘুণ পোকা, ব্যাঙ্ক-পোস্টঅফিসের বাইরে ভাবুন)। কিন্তু, তার মানে এই নয় যে ব্যাঙ্ক-পোস্টঅফিসে আমানত করবেন না। তবে, সারা জীবনের সঞ্চয় করা অর্থের পুরোটা ব্যাঙ্ক-পোস্টঅফিসে রাখাটাও সমীচীন নয়। কেননা, শেয়ার-মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নির ঝুঁকি এড়াতে গিয়ে সেক্ষেত্রে খেসারত দিতে হয় রিটার্নে। তাছাড়া, ব্যাঙ্ক আমানতে টাকা রাখারও যে ঝুঁকি আছে সেটাও মাথায় রাখতে হবে। কোনও ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হলে বা উঠে গেলে, ওই ব্যাঙ্কে আপনার একাধিক প্রকল্পে কোটি টাকা আমানত করা থাকলেও ব্যাঙ্ক আমানত বিমার আওতায় আপনি সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা ফেরত পেতে …