একজন মানুষ কষ্টার্জিত অর্থ যখন বিনিয়োগ করবার কথা ভাবেন তখন তার ভালো মন্দ সব দিকটাই বিচার করা প্রয়োজন। অনেকেই ব্যাঙ্কে টাকা রাখার সঙ্গে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার কিনে রাখেন।
পুরনো দিনে ডিপোজিটরি ছিল না। অনেকের বাড়িতে বহু বছর আগে কেনা কাগজে ছাপা শেয়ার এখনও পাওয়া যায়। শেয়ার-এর আলাদা করে কোনো পাসবুক হয় না। আগেকার দিনের শেয়ারে শুধু থাকে একটি শংসা পত্র যাকে আমরা ইংরেজিতে সার্টিফিকেট বলে থাকি। কোনো কারণে সেটি হারিয়ে গেলে কি কি করণীয় তা জেনে রাখা খুব জরুরি।
বাড়ি বদলের সময়, কোনো কারণে ব্যস্ততায় পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যদি আপনার কোনো ব্যাগে রাখা শেয়ার সার্টিফিকেট হারিয়ে যায় তাহলে প্রথমেই আপনাকে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে অর্থাৎ থানায় এফআইআর করতে হবে এবং ফোলিও নম্বর, ডিস্টিঙ্কটিভ নম্বর ও সার্টিফিকেট নম্বর দিতে হবে। যদি তা আপনার জানা না থাকে তাহলে আরএনটি অর্থাৎ রেজিস্টার অ্যান্ড ট্রান্সফার এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। আপনার ডিপোজিটরি পারটিসিপেন্টও এই ব্যাপারে সহায়তা করতে পারে।
যদি আপনার শেয়ারের ডিভিডেন্ড পরপর ৭ বছর জমা না করেন তাহলে আপনার শেয়ার এবং ডিভিডেন্ড দুই-ই আইইপিএফ অথরিটিতে চলে যাবে। তখন আপনাকে www.iepf.gov.in এই ওয়েবসাইট – এ গিয়ে আপনার অভিযোগ দাখিল করতে হবে এবং সেটি ফেরত পাওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় অপেক্ষা করতে হবে। সেইজন্যই শেয়ার এর মতো মুল্যবান কাগজ না হারিয়ে ফেলাই ভালো, হারিয়ে গেলেও ফিরে পাওয়ার সমাধান সূত্র রইলো।
মনে রাখবেন শেয়ার এর অর্থ মূল্য কখনই এক থাকে না, তাই এই সার্টিফিকেটের গুরুত্ব অপরিসীম। সব চাইতে ভালো হয় জরুরি কাগজপত্রের সঙ্গে শেয়ার সার্টিফিকেট যত্ন করে রাখা।
যদি একান্তই হারিয়ে যায় উপরোক্ত নির্দেশাবলী আপনার সমস্যার সমাধান করবে।
আরও জানতে ফোন করুন এই নম্বরে +91 9051052222 বা ইমেল করুন [email protected] এ।
– অনিন্দিতা চক্রবর্তী ও তাপস নন্দী